ধুমধাম করে চার হাত এক হয়েছিল তাদের। কিন্তু ফুলশয্যার দিন বদলে গেলো সবকিছু। বিয়ের পর ফুলশয্যার রাতে এমন বিপদ জীবনে হাজির হবে তা যেনো আঁচ করতে পারেননি সেই যুবক। ওই যুবককে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী। এর পাশাপাশি ওই যুবকের মোবাইল নিয়ে যেতেও ভোলেননি সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। আর এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর হুলুস্থুল বেঁধে গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে। জানা গিয়েছে, গত ১৩ই ডিসেম্বর রাজদীপ রাওয়াত নামের ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযুক্ত তরুণী খুশি তিওয়ারির। সুকন পাক নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ঘটকালি করে তাদের বিয়ে ঠিক হয়৷ দুই পরিবারের তরফে দেখাশোনা করে বিয়ে পাকা করা হয়৷ সমস্ত নিয়ম মেনে ধুমধাম করে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
অবশেষে ফুলশয্যার দিন উপস্থিত হলে সেদিন ওই যুবকের জীবনে নেমে আসে বড় বিপদ। নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীকে দুধ খাইয়ে দেয়। এই প্রথা পালন করতে গিয়ে খুশি তার সদ্য বিবাহিত স্বামী রাজদীপকে দুধ খাইয়ে দেন। আর তারপরই রাজদীপ অচৈতন্য হয়ে পড়েন। রাজদীপ হুঁশ ফিরলে দেখেন তার ঘর এলোমেলো এবং আলমারি খোলা।
বিপদ বুঝতে পেরে বাড়ির লোককে ডাকেন তিনি। এর পাশাপাশি নববধূ খুশিকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ আলামারিতে থাকা সমস্ত গয়না কিছুই আর ছিল না। এর পাশাপাশি রাজদীপের মোবাইলও তিনি খুঁজে পাননি। রাজদীপ মনে করছেন তাকে দুধের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সোনা রূপো মিলিয়ে ১২ লক্ষ টাকার গয়না ছিল রাজদীপের ঘরে। তার নিজস্ব মোবাইলের সঙ্গে সবকিছুই খোয়া গিয়েছে। রাজদীপের পরিবারের তরফে অভিযোগ, তারা বড়সড় প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। তাদের অনুমান, সেই তরুণী এর আগেও হয়তো অনেকের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। ওই তরুণীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাজদীপের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।