বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষের নিজের প্রতি খেয়াল রাখার সময় কমছে। তেমনি বাড়ছে রোগ। অনেকেই রাতে ঘুমানোর সশব্দে নাক ডাকেন। এটি যেমন তার জন্য একটি ভয়াবহ ঝুঁকি হতে পারে তেমনি আশেপাশের কোনো ব্যক্তি ঘুমালে তার জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নাক ডাকার একটি অন্যতম কারণ হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। এরফলে যেমন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে তেমনি নাক ডাকার আরও একটি কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা চিহ্নিত করেছেন স্লিপ অ্যাপনিয়াকে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মাধ্যমে যেমন হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়ে তেমনি শরীরে যদি অতিরিক্ত মেদ থাকে তবে ঘুমেও সময় শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। শ্বাস প্রশ্বাসের অসুবিধা ছাড়াও স্লিপ অ্যাপনিয়াকে চিকিৎসকরা অতিরিক্ত নাক ডাকার কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন। তাই অতিরিক্ত নাক ডাকা যে নিরাপদ এমনটা মনে করছেন না চিকিৎসকেরা। ঘুমের সময় শ্বাসনালীতে বেশ চাপ পড়ে। এরফলে স্লিপ অ্যাপনিয়া হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। যারা বেশি মদ্যপান ও ধুমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
এর পাশাপাশি যাদের হাইপ্রেসার, ডায়াবেটিসের মতন রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরও বেশি। এছাড়া যাদের টনসিল, অ্যাডেনয়েড গ্ল্যান্ড বড় তাদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকেই সঠিক ঘুম হচ্ছে না ভেবে ঘুমের ওষুধ খান। তবে জেনে নেওয়া যাক স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্মণগুলি কি কি-
১) এই রোগের প্রধান একটি উপসর্গ হল অতিরিক্ত নাক ডাকা। যারা এই রোগে আক্রান্ত হন তাদের নাক ডাকার তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।
২) এই রোগে আক্রান্ত হলে রাতে সঠিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে ঘুমের ঘাটতির ফলে সারাদিন মেজাজ খিটখিটে থাকে, ঘুমঘুম ভাব থাকে ও ঝিমুনি ও ক্লান্তি থাকে।
৩)যদি ঘুমের সময় শরীরে ঘাম হয় তবে চিন্তার কারণ। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে ঘাম হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হোন।
৪)এই রোগে আক্রান্ত হলে সকালে ঘুম থেকে উঠে গলা শুকিয়ে আসতে পারে। নাকের বদলে এই সময় মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে হয়। যার ফলে গলা শুকিয়ে আসে। নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়।
৫)যদি ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত মাথা যন্ত্রণা করে বা মাথা ঘোরে তবে সতর্ক হোন। কারণ এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার একটি লক্ষ্মণ। এমন নিয়মিত হলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।