The American lander is resting after 'stumbling' on a rock while landing on the moon

নাসার তরফে চাঁদে পাঠানো হয়েছে ল্যান্ডার। আইএম-১ অভিযানের নোভা-সি ল্যান্ডার পাঠানো হয়েছে নাসার সহযোগীতায় বেসরকারি উদ্যোগে। জানা যাচ্ছে, সফলভাবে অভিযান করলেও চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় সমস্যা দেখা দেয়। জানা যাচ্ছে, চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় হোঁচট খায় ল্যান্ডারটি। এই ল্যান্ডারটি চাঁদে পাঠানো হয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স-এর তরফে। বর্তমানে ল্যান্ডারটি ‘বিশ্রাম’ করছে বলে জানানো হয়েছে।

গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী চাঁদের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করে এই ল্যান্ডার। এরপর গত ২২শে ফেব্রুয়ারী এটি চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে। চাঁদের মাটিতে এই প্রথম কোনো বেসরকারি ল্যান্ডার পাঠানো হল। জানা যাচ্ছে, ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার সময় চাঁদের মাটির পাথরের টুকরোয় ল্যান্ডারের পা ধাক্কা খায়। এর ফলে ল্যান্ডার ল্যান্ডিং-এ সামান্য সমস্যা হয়েছে।

এর ফলে একটু পাশে সরে গিয়েছে ল্যান্ডারটি। তবে বর্তমানে ল্যান্ডারটিকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। পরে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আসল উদ্দেশ্য সাধনের কাজে লাগানো হবে ল্যান্ডারটিকে। স্পেস এক্স-এর তরফে ল্যান্ডারটি ল্যান্ডিং-এর জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ মেরুর ‘ম্যালাপার্ট’ নামক জায়গায় ল্যান্ডিং করার কথা ছিল ল্যান্ডারটির। কিন্তু সাময়িক বিচ্যুতির জন্য একটু পাশে সরে গিয়েছে ল্যান্ডারটি। জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর সঙ্গে ওই ল্যান্ডারের যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। যদিও সরাসরিভাবে নাসা যুক্ত না থাকলেও স্পেস এক্সের সঙ্গে এই অভিযান সম্পর্কে চুক্তি হয়েছে আমেরিকার সরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার।

এই ল্যান্ডারে রয়েছে ছয়টি পেলোড। এগুলি চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করবে। জানা যাচ্ছে, চলতি দশকের শেষের দিকে নাসার তরফে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে ওই ল্যান্ডার চাঁদের আবহাওয়ার খুটিনাটি সম্পর্কে সহযোগীতা করবে।