মহানায়িকা বলতে সকলেই যাকে চেনেন তিনি হলেন সুচিত্রা সেন। বাংলা সিনেমা জগতে যার অবদান অনস্বীকার্য। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল সুচিত্রা সেনের। তিনি ছিলেন বাড়ির আদরের মেয়ে। তার আসল নাম ছিল কৃষ্ণা। তবে একসময় তিনি গোটা বাংলায় তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে রাজত্ব করবেন তা হয়তো কেউ আঁচ করতে পারেননি।
স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর তিনি কৃষ্ণা থেকে রমা হয়ে যান। এরপর ধীরে ধীরে ফিল্ম দুনিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি। আর তারপরের ঘটনা সকলেই জানেন। সম্প্রতি তার জন্মদিন গিয়েছে। এতবছর হয়ে গেলেও মহানায়িকাকে নিয়ে আগ্রহ কমেনি প্রজন্মের পর প্রজন্মের। প্রাচীনপন্থী সমাজে ইন্ডাস্ট্রির নায়িকা হিসেবে প্রবেশ করলেও তিনি নিজেকে প্রাচীন রূপে গড়ে তোলেননি৷
বরং তার চিন্তাধারা ছিল যথেষ্ট উদার ও আধুনিক। আর তার প্রমাণ পাওয়া যায় তার কিছু ফটোশ্যুটের ছবি দেখলে। বর্তমান সময়ে নায়িকারা ফটোশ্যুট করতে গেলে তোয়ালে পরে ট্রোলড হন। তবে সুচিত্রা সেন সেইসময় তোয়ালে পরে ফটোশ্যুট করেছিলেন। সমুদ্র সৈকতে তোয়ালে পরে ফটোশ্যুট করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন সুচিত্রা।
নিজেকে বারবার ভেঙেছেন তিনি৷ কোনো বেড়াজালে নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি৷ ধীরেন দেবের ক্যামেরায় তার সাহসী ফটোশ্যুট আজও প্রশংসা কুড়োয়। সিনেমার পর্দায় হোক কিংবা বাস্তবের মাটিতে নিজেকে বারংবার ভেঙেছেন সুচিত্রা। তবে শেষ বয়সে এসে নিজেকে একেবারে অন্তরালে নিয়ে গিয়েছিলেন মহানায়িকা।
তিনি কেনো এমনটা করেছিলেন তা সকলেরই অজানা। অনেকরকম গুঞ্জন শোনা যায় তার কারণ হিসেবে। কিন্তু কোনটি সঠিক তা নিশ্চিত করে বলা যায় না৷ তবে মহানায়িকা লাইমলাইটে থাকতে পছন্দ করতেন না৷ ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড নিতে যাননি তিনি।
আরও পড়ুন,
*হুজুগে পড়ে প্রস্তাবে রাজি, কতদূর গড়িয়েছিল সৌমিতৃষার প্রথম প্রেম?
*কামাক্ষ্যা মায়ের মন্দিরে মধুমিতা, অসাধারণ মুহূর্ত পোস্ট করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী