পড়াশোনায় কমা এমন ছাত্রদের গৃহে ডেকে এনে আলাদাভাবে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করেছে বিদ্যালয় শিক্ষিকা। তবে তিনি বিন্দুমাত্র টের পাননি, পড়াশোনায় কমা হলেও দুষ্টুমিতে যথেষ্ট এগিয়ে তার ছাত্র। শিক্ষিকার গৃহে গিয়ে লুকিয়ে তারা নোংরা ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ফাঁস করল। ঘটনায় অভিযুক্ত বালকের পাশাপাশি পুলিশ মোট চারজনকে ধরে নিয়ে গেছে।
এই ঘটনায় জানা যায়, নিজের গৃহে ডেকে দশম বিভাগের ওই ছাত্রকে পড়াতেন উত্তরপ্রদেশের আগ্রার এই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার গৃহে পড়তে গিয়েই লুকিয়ে শিক্ষিকার স্নানের ভিডিও করে দোষী। সে তারপর ওই ভিডিওতে অস্ত্র হিসাবে শিক্ষিকার সাথে পরকীয়া সম্পর্কের দাবি জানায়। সে ব্ল্যাকমেল করে, তার সাথে পরকীয়া না করলে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও জনপ্রিয় করে দেবে। ঘটনায় এমন স্থানে যাওয়ার পর দোষী বালকের সাথে সব রকম সংযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করেন শিক্ষিকা।
তারপর শিক্ষিকার সাথে সংযোগ করতে না পেরে ঈর্ষার রাস্তায় নামে সেই দোষী বালক। সেই নোংরা ভিডিও সে পাঠায় তার সহপাঠীদের কাছে। এই ঘটনা এখনো সমাপ্ত হয়নি। রীতিমতো বেপরোয়া ওই দশম বিভাগের শিক্ষার্থী ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় করে দেয় শিক্ষিকার স্নানের ভিডিও। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শিক্ষিকা, তার সম্মান হানির জন্য তিনি আত্মহত্যা করতে উদ্যোগ নেন। এই পারপার্শ্বিকতা শিক্ষিকার সহায় হয় ‘মিশন শক্তি’ নামে এক সংঘ।
তাদের প্রচেষ্টাই পুলিশের কাছে দায়ের হয় নালিশ।
পুলিশ নারিল পেয়ে তখনই তৎপর হয়। আগ্রার ডিসিপি সুরজ রাই গ্রেফতার করেন, মূল দোষী ও তার সহপাঠীদের। এই শিক্ষিকার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় করতে আলাদাভাবে প্রোফাইল তৈরি করে দোষীরা। তারপর তা ফাঁস করে দেওয়া হয়।
দোষীদের কোর্টে তোলা হলে তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনা সম্মুখে আসার পর দোষী শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠে এসেছে, একজন শিক্ষিকার প্রতি শিক্ষার্থীর মনোভাব যদি এমন হয়, তবে তা আগামী দিনের সমাজের জন্য সত্যিই দুশ্চিন্তা।