ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কে না চায়, ওজন ঝরাতে শরীরচর্চার জুড়ি মেলা ভার। জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করুন অথবা বাড়িতে বসে যোগাসন— ফিট থাকতে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। শরীরচর্চার ধরন যেমনই হোক না কেন, নিষ্ঠা ভরে শরীরচর্চা করলে উপকার মিলবেই মিলবে। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ওজন ঝরাতে নিয়মিত হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটির বহু উপকার আছে। আবার কেউ ওজন ঝরাতে ভরসা রাখেন যোগাসনে। অনেকে দু’টিই করেন। কিন্তু ওজন ঝরানার জন্য কোন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকর? শরীরচর্চা না কি হাঁটাহাঁটি?
ওজন ঝরাতে তো বটেই, সুস্থ থাকার জন্য হাঁটাচলা করা অত্যন্ত জরুরি। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কিছু ক্ষনের জন্য হলেও হাঁটাহাঁটি যদি জীবনের অঙ্গ হয়, তাহলে আর সুস্থ থাকা নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না। হাঁটলে শরীরের মেদ দ্রুত ঝরে। এমনকি হাঁটাচলা করলে শরীরে জমে থাকা ক্যালোরিও ঝরে যায়। হেঁটে ওজন ঝরানোর মস্ত একটি সুবিধা আছে, তা হল সব বয়সের মানুষের পক্ষে এটি করা সম্ভব। ৫০-এর পর জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করা সম্ভব না হলেও হাঁটাচলা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা সোজা।
ছিপছিপে চেহারা পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র যোগাসন করারও সুফল মেলে। নিয়মিত শুধুমাত্র যোগাসন করতে পারলেও ওজন কমানোর পথ অনেকটা মসৃণ হয়। নিয়মিত যোগাসন করলে হাতের মুঠোয় থাকবে আপনার ওজন। পাশাপাশি উদ্বেগজনিত সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে যাবে। তাই রোগা হওয়ার পর্বে যোগাসনের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
হাঁটাচলা না কি যোগাসন? রোগা হতে চাইলে কোন উপায়ে বেশি জোর দেবেন, এটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। গবেষণা বলছে, ওজন ঝরাতে হাঁটাচলা এবং যোগাসন দুটোই কার্যকরী। তবে শরীরে জমে থাকা মেদ যদি দ্রুত ঝরাতে চান তবে হাঁটাচলা করা অত্যন্ত জরুরি। আর অন্য দিকে, পেশির গঠন সুদৃঢ় করতে, পেশির নমনীয়তা বজায় রাখতে, বিপাকহার বৃদ্ধি করতে যোগাসনে ভূমিকা অপরিসীম।
তার মানে কিন্তু এই নয় যে, এত দিন যাবৎ রোগা হওয়ার জন্য যিনি বা যাঁরা যোগাসনের উপর ভরসা রেখেছেন, সেই সব পরিশ্রম বৃথা হয়ে গেলে। হাঁটাচলা হোক অথবা যোগাসন, ফিট থাকতে যা-ই করুন না কেন, সুফল পাবেন। তাতে কোনো সন্দেহ নেই, তবে কী ধরনের শরীরচর্চা করছেন, তার উপর অনেকটা নির্ভর করছে কত তাড়াতা়ড়ি রোগা হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবেন।