ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য সময় নেই কাঞ্চনের হাতে, শ্রীগণেশের কাছে কী চাইলেন শ্রীময়ী

আজ গণেশ চতুর্থী। এই দিন গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে গণেশের পুজো। গণেশ চতুর্থীতে প্রতিবার কাঞ্চন মল্লিকের বাড়িতে গণেশ পুজো হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে এবার সকলের ব্যস্ত থাকার দরুন শ্রীময়ী নিজেই পুজোর সমস্ত জোগাড় করেছেন। গণেশ মূর্তি কেনা থেকে ভোগ রান্না সবকিছু তিনি নিজের হাতে করেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে কাঞ্চনের বাড়িতে গণেশ পুজো হয়। বিয়ের পর এই প্রথম কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর গণেশ পুজো।

শ্রীময়ীর কথায়, “সকাল থেকে পুজো চলছে। কাঞ্চন হোমযজ্ঞে যোগ দিয়েছেন। ভোগ নিবেদন করা হয়েছে। সন্ধেয় আমাদের আত্মীয়স্বজন আসবেন। খুব ঘরোয়া ভাবেই আয়োজন করা হয়েছে।” গণেশের কাছে তিনি কী চাইলেন তা জানালেন শ্রীময়ী। তিনি বলেন, “একটা সুস্থ পৃথিবী চাই যাতে, আমরা সকলে সুখে, শান্তিতে থাকতে পারি। সকলের মুখে যেন হাসি থাকে। কাউকে যেন চোখের জল ফেলতে না হয়। সবাই যেন সপরিবার সুস্থ থাকতে পারে।”

পরিবারে নতুন সদস্য আনার কোনো পরিকল্পনা করছেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রীময়ী জানান, ভবিষ্যত পরিকল্পনা করার জন্য কাঞ্চন সময় দিতে পারছেন না। তার কথাশ বিয়ের পর থেকে তারা সেই সময়টা পাননি। কাঞ্চনের কাজ, প্রচার, ব্যস্ততা সবকিছু মিলিয়ে আর সেই সুযোগ পাননি তারা। শ্রীময়ী জানান, “কালও গণেশ মূর্তি আনতে আমি আর মা গিয়েছিলাম। কাঞ্চন যেতে পারেনি।”

শ্রীময়ীর কথায়, বর্তমানে কাঞ্চন একটি সিনেমার শ্যুটিং-এর জন্য ব্যস্ত রয়েছেন। কাঞ্চন বাড়ি থেকে বেরোয় দুপুর দু’টোয় এবং ফের ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে ছ’টায়, এমনটাই জানালেন শ্রীময়ী। এবারের পুজো নিয়ে শ্রীময়ীর আরও একটি আক্ষেপ হলো, পুরোহিত সকালে চলে এলেও শ্রীময়ী নিজে এখনও তৈরি হতে পারেননি। তার কথায়, ““এ বার আসলে মা-ও ভোগ রান্না করতে পারেনি। কাল রাতে মায়ের এক দূর সম্পর্কে আত্মীয়ের মৃত্যুর হয়েছে। সেখানে যেতে হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আর আমার বাড়িতে আগে এক বৈষ্ণব রাঁধুনি ছিলেন। তাঁর শরীর খারাপ বলে চলে গিয়েছেন। এ বার এক অল্প বয়সি রাঁধুনি এসেছেন। তেমন অভিজ্ঞ নন। তাই সবটা আমাকে নিজেকেই করতে হয়েছে। এই সব কাজের মাঝে নিজেই তৈরি হতে পারিনি।” অর্থাৎ বিয়ের পর প্রথম গণেশ পুজোতে শ্রীময়ীর অবস্থা যে একেবারে নাজেহাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন,
*Jigra: শীঘ্রই আলিয়া ভাটকে দেখা যাবে ‘জিগরা’ সিনেমায়

error: Content is protected !!