হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী অনেক গাছের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। যেমন গাম্ভীর্য রয়েছে তুলসী নিম প্রতিটি গাছের। তেমনি অশ্বত্থ গাছের বিশেষ গাম্ভীর্য রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী অশ্বত্থগাছ দেবদেবী ও পিতৃপুরুষদের বসবাসের স্থান। তাই পিতৃপক্ষের আগমন হলেই এই গাছকে পুজো করলে পিতৃপুরুষদের শুভকামনা পাওয়া যায়।
স্কন্দপুরাণ অনুযায়ী অশ্বত্থ অশ্বত্থগাছের শিকড়ে থাকেন বিষ্ণুদেব, অশ্বত্থ অশ্বত্থগাছের ডালে বসবাস করে কেশব, নারায়ণের অবস্থান শাখায়, শ্রী হরি থাকেন পাতায়, অন্যান্য সব দেবতারা অবস্থান করেন ফলমূলে। তাই পিতৃপক্ষ আগমন হলে এই গাছের অর্চনা করলে নারায়ণ সন্তুষ্ট হন। পুজো করার সাথে সাথেই বেশ কিছু প্রতিকার করলে পিতৃপুরুষদের শুভকামনা লাভ করা যায়। কিন্তু কোন কাজ করলে মিলবে পিতৃপুরুষদের শুভকামনা? আসুন জেনে নিই
১) পিতৃপক্ষ চলাকালীন সময় আহ্নিক বেলা অশ্বত্থ গাছের নিকটে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে পিতৃ পুরুষদের মনে করা উচিত। তারপর ওই প্রদীপ গুলি পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে দান করতে হবে। এতে জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ ফিরে আসবে।
২) পিতৃপক্ষ অশ্বত্থ গাছের তলায় বসে হনুমান চালিসা পড়তে পারেন। হনুমানজি এতে সন্তুষ্ট হয়। বীর হনুমানের আশীর্বাদে জীবনের দুঃখ কষ্ট দূর হবে।
৩) মহালয়ার দিন অশ্বত্থ গাছকে অর্চনা করে গাছের চারিদিকে সাতবার ঘুরতে হবে। সাথে কালো তিল মেশানো সর্ষের তেলের দীপ জ্বালাতে হবে। এর জন্য শনির দৃষ্টির থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হয়।
৩) এই সময়গুলিতে প্রত্যেকদিন সকালে স্নান করে জল ও খাবার খান। তারপর পিতৃপুরুষদের কথা মনে করে অশ্বত্থ গাছের চারিদিকে সাতবার ঘুরুন। এর জন্য পিতৃপুরুষরা আনন্দ লাভ করে। পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হলেই সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য শুভ কামনা করেন।