আর ১৮ বছর নয় এবার থেকে ২১ বছর না হলে বিয়ে করতে পারবেন না মহিলারা। সম্প্রতি মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মূলত মাতৃত্বকালীন অবস্থায় মহিলাদের স্বাস্থ্য এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিধানসভা থেকে। তবে পশ্চিমবঙ্গ নয় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হিমাচল প্রদেশে।
এর আগে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছিলেন মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর জন্য। এবার সরকারিভাবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে যদি কেউ ১৮ বছর বয়সে মহিলাদের বিয়ে দেন তাহলে আইনি সাজার সম্মুখীন হতে হবে তাদের।
যদিও হিমাচল প্রদেশে সেটি বিল আকারেই রয়েছে, এখনো পর্যন্ত সেটি আইনে পরিণত হয়নি। গত মঙ্গলবার সেখানকার বিধানসভা এই বিলটি পাশ করেছে। যেটি বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞ বিল ২০২৪ নামে পাশ হয়েছে। এই বিলটি বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইনকে সংশোধন করেছে। যেটা ২০০৬ সালে পাশ হয়েছিল।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রী ধনিরাম শান্ডিল জানিয়েছেন, ‘কিছু মেয়ে এখনও অল্প বয়সে বিয়ে করে। যা তাদের শিক্ষা এবং জীবনের অগ্রগতির চেষ্টাকে বাধা দেয়। উপরন্তু, অনেক মহিলা বাল্যবিবাহের কারণে তারা কেরিয়ারে সাফল্য অর্জন করতে পারে না।’
”বাল্যবিবাহ এবং মাতৃত্ব মহিলাদের স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বিলের সঙ্গে প্রদত্ত ‘স্টেটমেন্ট অব অবজেক্টস অ্যান্ড রিজনস’ অনুসারে, বাল্যবিবাহ শুধুমাত্র তাদের (মহিলাদের) কর্মজীবনের অগ্রগতিতে নয়, তাদের শারীরিক বিকাশেও বাধা হিসেবে কাজ করে।” উল্লেখ্য, এই বিলটি যদি আইনে পরিণত হয় তাহলে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই বিয়ের বয়স ২১ বছর নির্ধারিত হবে।