একটি যুগের অবসান ঘটল। সকাল হতে না হতেই এক মনখারাপ করা খবরে ছেয়ে গিয়েছে গোটা বাংলা। প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তার মৃত্যুতে যেনো বাম জমানার একটি যুগের অবসান ঘটল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে কাঁদছে গোটা বাংলা। তাকে ভালোবাসতে গেলে যে কোনো দলীয় রং মনে করতে হয় না তা আরও একবার প্রমানিত।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এর আগে তাকে একবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেইসময় লড়াই করে জিতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। এদিন মঙ্গলবার সকালে প্রাণ ত্যাগ করলেন তিনি। তার মৃত্যুতে সামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলো বিনোদন থেকে রাজনীতির জগতে আরও অনেকেই। এমন একজন ব্যক্তিত্ব বাংলার রাজনীতিতে খুব কমই দেখা যায়।
তার মৃত্যুতে তার দলের সকলেই মুষড়ে পড়েছেন। তেমনই একজন হলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি বরাবর বামফ্রন্টের সমর্থক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বামফ্রন্টের সমর্থনে একাধিক পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের মৃত্যুতে তিনিও ভেঙে পড়েছেন।
এদিন তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে তাকে নিয়ে শ্রীলেখা লেখেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, একটা যুগের অবসান। কমরেড আপনাকে লাল সেলাম। আপনি চলে গিয়ে বেঁচে গেছেন।” এর সঙ্গে তিনি গানের লাইন জুড়ে দিয়ে লিখলেন, “ও আলোর পথযাত্রী, এযে রাত্রি, এখানে থেমোনা।”
https://www.facebook.com/share/p/DQG8Xvo2AbgigMYW/?mibextid=xfxF2i
বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। বাম জমানার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর পর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহ আগামীকাল শায়িত থাকবে আলিমুদ্দিনে। এরপর নীলরতন সরকার হাসপাতালে মরনোত্তর দেহ দান করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন,
*‘আমি মন্ত্রী হতে চাই’, বাংলাদেশের সরকারে মন্ত্রীত্ব চেয়ে লাঞ্ছিত হিরো আলম