ধর্মনিরপেক্ষ নিয়ে সবসময় স্লোগান তোলেন তারকা। অথচ তিনিই কিনা মুসলিম প্রণয়ী বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাভাব ছিলেন। তারকা স্বরা জানালেন ভাস্কর। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
স্বরা ভাস্কর বিনোদুনিয়ার বাইরেও বিবাদী বলেই জ্ঞাত। বিজেপি সরকারের নানা কর্মে বিবাদী অনেক সময় তাকে সম্পূর্ণ দেখা গিয়েছে। রাম রাজনীতির কথাবার্তা বলে এক সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরাগভাজনও হয়েছেন। হিন্দু রাজনীতি বিজেপি অপরদিকে দাঁড়িয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার তরফ নিয়েছে বারংবার। তবে এখানে কিন্তু স্বরাও নিজের জীবনের সমস্যায় পড়েছিলেন ওই ধর্ম নিয়েই। প্রণয়ী ফাহাদ আহমেদ ইসলাম ধর্মে, তাকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যথাযথ অস্থিরতায় ভুগছেন তিনি।
ফাহাদকে সমাজবাদী পার্টির সংসদ ২০২৩ সালে বিবাহ করেন তারকার স্বরা। এর আগে চলছিল প্রণয় পর্ব। কিন্তু এখানে দুজনের দুনিয়া পুরো আলাদা। একেই ধর্ম নিয়েও এইরকম সমস্যা এই প্রণয়ের মাঝে বাধা হয়েছে। স্বরা বলেছেন, তার পরিবারের আত্মীয়স্বজনরা কিভাবে এই সম্বন্ধ কে দেখবেন, তা নিয়ে দ্বিধাভাব পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন তিনি।
এমনকি তার ভয় ছিল, ফাহাদকে বিবাহ করলে বিনোদুনিয়ার আর কোন পার্টিতে আমন্ত্রণ জানাবে না তাকে। সত্যি কথা বলতে গেলে, আজকাল অন্য ধর্মে বিবাহ মানেই লাভ জিহাদ এমনই এক সংবাদ বিজেপি সংস্থায় ছড়িয়ে পড়ছে। ওইখানে ইসলাম ধর্মের কোন তরুনের সাথে বিবাহ করলে কি সমস্যা আসতে পারে, এইসব নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বিবাদী অভিনেত্রীও।
বিজেপির রাজত্বে ইসলাম ধর্ম অবলম্বীদের প্রতি যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে রাষ্ট্র জুড়ে, এইসব কথা অনেকেই বলে থাকেন। স্বরাও কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে নালিশ সরব হয়েছেন। বারবার ধর্মনিরপেক্ষতার হয়ে স্লোগান দিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেও উমর খালিদ,শার্জিল ইমামদের হয়ে তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, তিনিও তো একসাথে বিবাদে যুক্ত হয়েছিলেন, শুধুমাত্র হিন্দু বলেই কি তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, আর উমর-শার্জিলদের এখনো বন্দী হয়ে কাটাতে হচ্ছে।
অথচ এখানে স্বরাও কথা আর কর্মের মধ্যে মিল রাখতে সংশয় পড়েছিলেন। এই কথা তিনি নিজেই মেনে নেয়। তিনি বলেন এইসব নিয়ে চেতনা অবস্থায় মাথা ঘামান না। এমনকি পার্টিতে কে ডাকলো বা না ডাকলো, এই ব্যাপারেও তার বিশেষ কিছু আসে যায় না। মানুষের মনে কখন যে কিভাবে দ্বিধা গ্রস্থ হয় তা বলা বিপদ। স্বরা সবশেষে যদিও সব বাধা কাটিয়ে উঠে প্রনয়ের পক্ষ নিয়েছেন।
