মদ্যপ অবস্থায় স্বামীর নিত্য অত্যাচার, অভিমানে একরত্তিকে ‘খুন’ করে আত্মঘাতী বধূ

মদ্যপ অবস্থায় স্বামীর নিত্য অত্যাচার, অভিমানে একরত্তিকে 'খুন' করে আত্মঘাতী বধূ

বিয়ের পর থেকে প্রতিদিন স্বামীর হাতে চলত মারধোর। মদ্যপ অবস্থায় স্বামী মারধোর করার পাশাপাশি গালিগালাজ করতেন। দীর্ঘদিন এসব চলায় তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন নৈহাটির এক বধূ। বিয়ের পর প্রতিদিন অশান্তি হওয়ায় ওই বধূ ভেবেছিলেন সন্তান নিলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি৷ সন্তান জন্ম হয়, তার বয়স হয় চার। কিন্তু তাতেও স্বামীর মতিভ্রম ঠিক হয়নি৷

অবশেষে সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন ওই বধূ। তবে স্বামী স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত ওই বধূর নাম বিশ্বমিত্রা অধিকারী। নৈহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লির বাসিন্দা তারা।

আরও পড়ুন,
*ফের স্বজনবিয়োগে মন ভারাক্রান্ত গায়ক অরিজিৎ সিংহ
*আসরে নেই পাত্রর খোঁজ! সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাতে কী শয়ে শয়ে ভুয়ো গণবিবাহ যোগীরাজ্যে!

অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের পর থেকে বিশ্বমিত্রার উপর নিত্যদিন অকথ্য অত্যাচার করতেন তার স্বামী শুভঙ্কর।মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। বছর চারেক আগে একটি পুত্র সন্তান হয় তাদের। কিন্তু তারপরেও অশান্তি কমেনি৷

রবিবার সেই অশান্তি চরমে পৌঁছোয়। অনুমান করা হচ্ছে, বছর চারেকের সন্তানকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্বামিত্রা। ঘটনার পরই সেখানে পৌঁছোয় নৈহাটি থানার পুলিশ। এরপর তারা মা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃতদেহ দু’টি নৈহাটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মনে করা হচ্ছে স্বামীর চরম অত্যাচার ওই বধূর মৃত্যুর কারণ। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে নৈহাটি পুলিশ। আটক করা হয়েছে মৃত ওই বধূর স্বামীকও।

আরও পড়ুন,
*স্বামীর থেকে আলাদা, শানু-উদিতের সঙ্গে প্রেম! অলকা ইয়াগনিকের জীবন কাহিনীই যেন আস্ত সিনেমা
*নিজের স্বপ্নপূরণে স্বামীর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া মানসিক নির্যাতন: দিল্লী উচ্চ আদালত