kmc 20240828 105049 CBEIF5Yg3v

এখন হৃতিক ও সুজন দুজনেরই আলাদা আলাদা সম্বন্ধ। তাদের বিবাহের সংবাদ নিয়ে চর্চা চতুর্দিকে। তার মাঝেই হঠাৎ করে দাদা ও বৌদির বিচ্ছেদ নিয়ে কি বললেন হৃতিকের বোন? অভিনয়কারী হৃতিক রোশন ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সুজান খান তাদের বিবাহের ১৩ বছর পর ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। বর্তমানে হৃত্বিক রোশনের সম্বোন্ধ আছে সাবা আজাদের সাথে। আর সুজনের সঙ্গে প্রণয় আরসালান গোনি। বিচ্ছেদের পরেও একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে আছে ঋত্বিক ও সুজন।

নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে একসঙ্গে অতিথি বৃন্দের সমাবেশে দেখা যায়। অর্থাৎ সুজন-আরসালান, ঋত্বিক-সাবা, চারজনে একই স্থানে থাকে। সাথে থাকে হৃত্বিক ও সুজনের দুই পুত্র সন্তানও। তবে আকস্মাত ঋত্বিকের বোন সুনয়না বদন খুলে বলেন দাদা বৌদির বিচ্ছেদ পিতা রাকেশ রোশনের ক্যান্সার রোগ হওয়া নিয়ে। তাকে বলতে শোনা গেছে ‘আমরা যোদ্ধা, আমরা একে অপরকে আমাদের নিজেদের কৌশলে শক্তি দিই। আমি, আমার মা-বাবা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে সবল পেয়েছি। এবং এটাই আমাদের সহায়তা করে, সব ওঠা পড়ার পরেও বেঁচে থাকতে, আমাকে আত্মবিশ্বাস দেয় যে, জীবন এখনো চমৎকার, এবং আমি বেঁচে থাকতে চাই।’

ঋত্বিক এবং সুজনের ডিভোর্স এর পেছনে কারণ এখনো অজানা রয়েছে। ২০০০ সালে ডিসেম্বর মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, এবং তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। হৃহান যার জন্ম ২০০৬ সালে এবং হৃদান জন্মগ্রহণ করেছিল ২০০৮ সালে। তাদের প্রায়ই একসাথে পার্টিতে দেখতে পাওয়া যায়।

চলচ্চিত্র পরিচালক রাকেশ রোশন ২০১৮ সালে গলায় ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় এক মোলাকাতে তাকে বলতে শোনা গেছে। মানসিক পরিস্থিতি তাকে ক্যান্সারের রোগ থেকে উন্মুক্ত হতে সহায়তা করেছে।
তিনি আরো বলেছেন, ‘সিগারেট আমার কাছে বাইগন হয়ে গেছে, তবে আমি এখনো প্রতিদিন সাজের বেলায় দুই প্যাক খাই। এটা স্বীকৃত নয় তবে আমি মানসিকভাবে সুস্থতা বোধ করি, এবং এটাই গুরুত্বপূর্ণ তাই না? আমার সমগ্র কিছুই শেষ পিইটি স্ক্যান বলেছে, আমি সুস্থ আছি, আমি পরীক্ষা করতে যাওয়ার আগে জানতে পারলাম যে আমার ক্যান্সার হয়েছে, তবে আমি জানিনা কেন, তবে আমার হৃদয় বলছিল যে এই ধরনের একগুঁয়ে ফোক্স কেবলমাত্র ক্যান্সার হতে পারে। আমি এই আমার উপলব্ধির কথা চিকিৎসককেও জানিয়েছি।’

এখানেই সমাপ্ত নয়, ২০১৯ সালে সংবাদ এসেছে যে সুনয়না বাইপোলার ডিসঅর্ডারের শিকার। এবং তাকে একটি মুম্বাই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হয়েছিল। যদিও সেই সময়ে পরিবারের নামে আঙুল তুলেছিলেন তিনি, জানিয়েছেন তিনি কারো দৃঢ়ীকরন পাচ্ছে না। প্রাণবন্ত যমালয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন,
*রাতারাতি সমস্ত সম্মান ধূলোয় মেশেতে বসেছিল, পরিবার নিয়ে কোন বিপদের মুখে পড়েছেন অমিতাভ?