মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সেই বিশ্বরেকর্ড! দাবায় নয়া ইতিহাস তৈরী করে বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল অনীশ

kmc 20241102 153500 OQGzouXv7y

Anish Sarkar: বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই বয়সের বাচ্চারা খেলাধুলো নিয়ে মেতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খেলতে খেলতে সাড়ে তিন বছরের একটি বাচ্চা বিশ্বরেকর্ড গড়েছে, এ কথা শুনলে যে কেউ চমকে যাবেন। অনেকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারবেন না। তবে সম্প্রতি এমনই এক নজির বিহীন কাণ্ড ঘটালো বাংলার শিশু।

তাঁর নাম অনীশ সরকার। অনীশের বয়স সবে সাড়ে তিন বছর (৩ বছর ৮ মাস ১৮ দিন)। এই বয়সেই অনীশ বিশ্বের কনিষ্ঠতম ফিডে রেটিং পেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলল খুদে দাবাড়ু। কলকাতার কৈখালিতে ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করে অনীশ। তার এই অকল্পনীয় কীর্তিতে বেজায় খুশি তাঁর পরিবার সহ তাঁর কোচ দিব্যেন্দু বড়ুযাও।

এই বয়সের বাচ্চারা সাধারণত কার্টুন প্রিয় হয়ে থাকে। ব্যতিক্রম অনীশ। কার্টুন নয় দাবার প্রতি বেশি আকর্ষণ। রাজ্যের অনূর্ধ্ব ৯ দাবা প্রতিযোগিতায় রেটিংয়ে থাকা দুই দাবাড়ু- আরভ চ্যাটার্জি এবং আহিলন বৈশ্যকে হারিয়ে সকলের নজর কেড়েছে সে। ১৫৫৫ ফিডে এলো রেটিং পেয়েছে অনীশ। ভারতের তেজস তিওয়ারির গড়া রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর আগে সে পাঁচ বছর বয়সে ফিডে এলো রেটিং পেয়েছিল। এবিষয়ে তার কোচ দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, ‘ও আমায় মিত্রভা গুহ’র কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। অনীশের মধ্যে পারদর্শীতা রয়েছে। ফিডে রেটিং পাওয়াটাই সব কিছু পাওয়া নয়। অনীশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

মাত্র ১ বছর আগেই তার দাবায় হাতেখড়ি। এ বিষয়ে অনীশের মা বলেন, ‘আমরা ওকে ইউটিউবে নানা ধরনোর ভিডিয়ো দেখাতাম, কিন্তু ওর নজর সবসময় দাবার দিকেই থাকত। ওর এই খেলার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়তে থাকে জানুয়ারির দিকে। এর পর আমি ওকে দাবার বোর্ড কিনে দেই। আমি মনে করেছিলাম অন্যান্ন খেলার থেকে দাবাটা ওর জন্য বেশি সুরক্ষিত। কারণ আমি যদি ওর দিকে সেভাবে নজর দিতে নাও পারি সেক্ষেত্রেও ও এটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

পরে আমরা ওকে দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে নিয়ে যাই।’ যদিও ছেলের কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত হলেও এখনও নিজের পরিচয় সংবাদমাধ্যমের কাছে দিতে নারাজ অনীশের মা। তাঁর মতামত, যেদিন ছেলে অনিশ গ্র্যান্ড মাস্টার হবে, সে দিন আমি নিজের পরিচয় জানাতে খুশি হব। আপাতত আমরা সর্বদা ওর পিছনে সব সময় থাকব। ও ওর ইচ্ছা মতই চলবে, ওর উপর কোনো প্রকার চাপ নেই। আমরা চাই অনীশ যেটা করছে সেটা উপভোগ করুক।