বলি পাড়ার দাপুটে অভিনেতা তিনি। জীবনের একাধিক সময় দাঁড়িয়ে উত্থান ও পতনকে সামনে থেকে দেখেছেন। শরীরে থাবা বসিয়েছে ক্যানসারের মতন মারন রোগ। তবুও হার মানেননি। ফিরে এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে। তিনি হলেন সঞ্জয় দত্ত। তার জীবনের গল্প হার মানাবে যেকোনো বলিউড সিনেমাকে। সোমবার সঞ্জয় দত্ত ৬৫ বছরে পদার্পণ করলেন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভরা সংসার তার।
যৌবনে বেপরোয়া জীবন কাটিয়েছেন তিনি। মাদক ও একাধিক মেয়ের নেশায় ডুবে থাকতেন তিনি৷ তিনি জানিয়েছিলেন তার কমপক্ষে ৩০৮টি প্রেমিকা ছিল। এরপর দাম্পত্য জীবন শুরু হওয়ার পর সেখানেও নানান ঘটনার সাক্ষী থাকলেন তিনি। প্রথম স্ত্রী রিচাকে বিয়ের পর তার মৃত্যু হয়। এরপর দ্বিতীয় বিবাহ করেন সঞ্জয়। তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তৃতীয় বিয়ে সারেন তিনি।
সি গ্রেড ছবির নায়িকা মান্যতাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। ১৯ বছরের ছোটো মান্যতাকে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন সঞ্জয় দত্ত। এরপর তাদের দাম্পত্য জীবনে এসেছে উত্থান পতন। সেইসময় সঞ্জয়কে শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন স্ত্রী মান্যতা। তাদের শাহরান ও ইকরা দুই যমজ সন্তানও রয়েছে। এরপর অভিনেতা দীর্ঘ সময় জেলে কাটিয়েছেন। সেইসময় একা হাতে সবকিছু সামলেছেন মান্যতা।
এদিন সঞ্জয়ের জন্মদিনে ভালবাসায় মাখানো পোস্ট করলেন সঞ্জয়। মান্যতা লিখেছেন, “সবচেয়ে শক্তিশালী এবং জীবনে ভরপুর, আমার সাপোর্ট সিস্টেম, আমার সেরা অর্ধেক তুমি। তোমার অন্তরে যে আলো আছে সেটা দিয়েই সব বাধা, কঠিন পরিস্থিতি আর চ্যালেঞ্জ পার করব। তোমার মধ্যে অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসার। এইরকমই থেকো।” তাদের দু’জনের ছবিও পোস্ট করেছেন মান্যতা।
বর্তমানে সিনেমা জগত থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। আগেকার বেপরোয়া জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। সাধারণ জীবনযাপন করেন তিনি৷ তার জীবন নিয়ে ইতিমধ্যে বলিউডে তৈরি হয়েছে সিনেমা যা বিশাল ব্যবসা করেছে বক্স অফিসে। সঞ্জয় দত্তের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রনবীর কাপুরকে।
আরও পড়ুন,
*একরত্তিকে আদরে ভরিয়ে দিল মা-বাবা, দুর্নিবার-মোহরের ছেলে দেখতে কার মতো?