স্বামী’কে ফাঁসাতে মিথ্যে জাল পেতেছিলেন তিনি অথচ শেষমেষ তাকেই সেই জালে জড়িয়ে পড়তে হলো। চেন্নাইয়ের এই ঘটনা হার মানাবে সিনেমার কাহিনীকেও। ৬ বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা।
তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেলো সবটাই তার সাজানো। আসলে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই ঘটনা সাজিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ করেছিলেন তার স্বামীর নিগ্রহের কারণে তার নাবালিকা মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। প্রমাণ হিসেবে দিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি পরীক্ষা এবং মেয়ের প্রস্রাব পরীক্ষার রিপোর্ট।
আরও পড়ুন,
*লবিবাজি করলে টলি পাড়ায় টিকে থাকা যায়, ভয়ানক মন্তব্য নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়ের
*‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জন্মগ্রহণ করেছেন গুজরাটের তেলি পরিবারে, তিনি ওবিসি নন’: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী
তবে সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে চেন্নাই উচ্চ আদালতে মামলা খারিজ এবং জামিনের আর্জি জানান ওই অভিযুক্ত স্বামী। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সেই মামলার শুনানি চলে। শেষে ওই মহিলার দেওয়া সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখা হয়। যেখানে জানা যায় প্রস্রাব পরীক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত প্রমাণই মিথ্যে।
আসলে যে ল্যাব থেকে সেই পরীক্ষার রিপোর্টগুলি নিয়েছিলেন সেখানে তিনি একসময় অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। ফলে সেই সুযোগ নিয়ে জাল রিপোর্ট তৈরি করেন তিনি। এমনকি চিকিৎসকদের দিয়েও মিথ্যে বয়ান দেওয়া করান।
তবে পরে জানা যায় স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন তাকে ফাঁসানোর জন্য এই কাজ করেছিলেন তিনি। ফলস্বরূপ ‘পকসো’ আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় ওই মহিলাকে। ৬,০০০ টাকা জরিমানা এবং ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে তাকে। অন্যদিকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামীকে।
আরও পড়ুন,
*Poonam Pandey: সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের সরকারি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর পুনম? কী নিশ্চিত জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক?
*Death: শোকের ছায়া বিনোদন জগতে! প্রয়াত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সহ অভিনেতা