‘অন্যায় হলে তৎক্ষণাৎ রুখে দাঁড়াব’, বাংলাদেশ সরকারে মন্ত্রীত্ব চেয়ে বসলেন হিরো আলম!

kmc 20240808 155541 koY9aOrp1S

বর্তমানে সেনাবাহিনীর হাতে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই সঙ্গে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগের। এদিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে তার বহুদিনের। একবার বাংলাদেশের নির্বাচনে লড়ে তিনি মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু নেতা হওয়ার ইচ্ছে তার মধ্যে পরিপূর্ণরূপে বজায় রয়েছে। এদিকে দেশে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে চলেছে সেইসময় ফের আরও একবার তার সুপ্ত ইচ্ছের কথা সকলের সামনে আনলেন হিরো আলম।

বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়াই করেছেন। কখনও তাকে ভোটের ময়দানে যেমন হেনস্তা হতে হয়েছে তেমনই ভোটের ফল বেরোনোর পর চর্চায় থেকেছেন তিনি। যদিও দেশে সংরক্ষণ সংস্করণের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই পাশে ছিলেন হিরো আলম। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর এবার তিনি পথে নেমেছেন।

এদিকে বাংলাদেশের সরকার গঠনের পথে রয়েছে সেই দেশের সেনাবাহিনী। আর এমন সময়ে মন্ত্রিত্ব চেয়ে বসলেন হিরো আলম। তার কথায়, “আমি মন্ত্রী হতে চাই। আজ থেকে চোখের সামনে অন্যায় হলে তৎক্ষণাৎ রুখে দাঁড়াব। কোনও সরকারি অফিসে কাজ হাসিলের জন্য একটা টাকাও দেব না। রাস্তায় আবর্জনা ফেলব না। ট্রাফিক আইন মেনে চলব। প্রত্যেকটা মানুষের অধিকারের জন্য সরব হব। দেশের প্রথম পরিবর্তনটা আমার থেকেই শুরু হোক।”

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে এমন দাবি করে ফের হাসির খোরাক হলেন হিরো আলম। এদিকে গত সোমবার শেখ হাসিনা ইস্তফা দেওয়ার পর সেই দেশের শাসন ক্ষমতা রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে। শোনা যাচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের অঙ্গুলিহেলনেরই ইস্তফা দিয়েছেন হাসিনা। অনুমান করা হচ্ছিল, হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশে সেনাশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

কিন্তু আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সেনাশাসন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবেে না৷ বরং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নিযুক্ত করা হোক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনুসকে।মঙ্গলবার দীর্ঘ আলোচনার পর পড়ুয়াদের দাবি মানল বাংলাদেশের সেনা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।