Purba Bardhaman: মৃতা মা’কে সাক্ষী রেখে প্রেমিককে বিয়ে করলেন যুবতী! মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতেই শ্মশানঘাটে বিয়ে সম্পন্ন করলেন ওই যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা রটন্তিকালী মন্দিরের পাশের শ্মশানে। যেখানে দাহ করতে আনা হয়েছিল নীলিমা মুখোপাধ্যায়কে।
তার মৃতদেহকে পাশে রেখেই বিবাহ করলেন একমাত্র সন্তান পল্লবী। আর এই বিয়ের সাক্ষী ছিলেন কয়েকজন প্রতিবেশী। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে সেটি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা বর্তমানে রীতিমতো ভাইরাল। গুসকরা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা ভবানী মুখোপাধ্যায় পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
তার স্ত্রী নীলিমাদেবী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তাদের একমাত্র সন্তান পল্লবী কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছেন। কিছুদিন ধরেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নীলিমাদেবী। এরপরই আত্মঘাতী হন তিনি। সমস্ত কাজ শেষ করে তার দেহ নিয়ে আসা হয় শ্মশান ঘাটে।
তার অন্তিম সংস্কার করার আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পল্লবী এবং তার প্রেমিক জয়দীপ অধিকারী। মালাবদল এরপর সিঁদুরদান করে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পল্লবীর প্রেমিক জয়দীপ ভাতারের বেরোয়া গ্রামের বাসিন্দা। যিনি পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী।
দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কে ছিলেন তারা, ঠিক করেছিলেন খুব শীঘ্রই বিয়ে করবেন। দুই পরিবারের তরফ থেকেও তাদের সম্পর্ক মেনেও নেওয়া হয়েছিল। তবে কেরিয়ারে আরেকটু উন্নতি করে বিয়েটা করতে চেয়েছিলেন তারা। তবে তেমনটা আর হলো না। পল্লবীর মায়ের ইচ্ছে ছিল তার মেয়ের বিয়ে দেখে যাওয়া। তাই এভাবেই বিয়েটা করতে হয়েছে তাদের।