টলিউড থেকে বলিউড, সমানতালে দীর্ঘদিন অভিনয় করে এসেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার দীর্ঘদিনের অভিনয়ের জীবনে অভিনীত ছবির সঙ্গে প্রচুর। এবার মিঠুন চক্রবর্তী পেতে চলেছেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। আর এই কথা ঘোষণা হওয়ার পর মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই তা বিশ্বাস করতে পারেননি। তার সঙ্গে তার অনুগামী থেকে সতীর্থ সকলেই খুশি। আর তার মধ্যে একজন হলেন মমতা শঙ্কর।
সম্প্রতি তিনি এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই বিষয় নিয়ে তাকে জিগ্যেস করা হলে তিনি জানান, “আমি ভীষণ, ভীষণ খুশি। সত্যিই এই পুরস্কার মিঠুনেরই প্রাপ্য।” তার কথায়, সকালবেলা খবরটি পেয়েই তার মন ভালো হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিনেতা যেনো সুস্থ থাকেন এবং তার সঙ্গে আরও ভালো ভালো কাজ করেন। মমতা শঙ্কর ও মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছেন।
১৯৭৬ সালে তাদের একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখা যায়। সেই প্রসঙ্গে তিনি স্মৃতিচারণ করতেও ভোলেননি। তার কথায়, “প্রথমে মনে হয়েছিল মিঠুন কী ভাবে ঘিনুয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন? একদম মানাবে না। ৩২ ইঞ্চি বেলবটস পরা, লাল গেঞ্জি তার উপর জ্যাকেট এমন মিঠুনকে তার আগে দেখেছি। ঘিনুয়ার সঙ্গে কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না। কিন্তু তার পর ওকে তৈরি করা হল চরিত্রটার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “সে সময় মিঠুনের ঘাড় অবধি লম্বা লম্বা চুল ছিল। সে সব কেটে দেওয়া হয়েছিল। ছোট ধুতি, গায়ে একটা চাদর আর হাতে একটা লাঠি নিয়ে ও যখন বার হল ঘর থেকে সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল ঘিনুয়া মিঠুন ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। মৃণালদার কী চোখ ছিল। আমরা বুঝতেই পারছিলাম না এদিকে। মিঠুনও প্রথম ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করেছিল। আমার তো এখন মনে হচ্ছে আমিই অ্যাওয়ার্ডটা পেয়ে গিয়েছি।”
শোনা যায় ‘মৃগয়া’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে মিঠুন ও মমতা শঙ্করের মধ্যে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই বিষয়ে পরবর্তীকালে তারা দু’জনেই তা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। তবে সেসব ঘটনা এখন অতীত। গত ২০২২ সালে বড় পর্দায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মমতা শঙ্কর ও মিঠুন চক্রবর্তীকে। আগামীতেও এমন আশায় রয়েছেন দর্শকেরা।