উৎফুল্ল নেই দুর্গাপূজায়! পুজোর সম্মুখে কলকাতা ত্যাগ করলেন কেন? দেবশ্রী নিজেই বললেন

দেবশ্রী রায়ের নাম শুনলেই আগেরকার জনপ্রিয় একটি সংগীত এর কথা মনে বেজে ওঠে “আমি কলকাতার রসগোল্লা”। তার অভিনীত কোন সিনেমার সিমের কথা চোখে ভেসে ওঠে। বাংলা ফিল্মস্টারে এক সময় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন তেমনি টেলিভিশনে টিআরপি লিস্ট কাঁপিয়ে হিট করেছে তারকা দেবশ্রী রায়। এমনকি ওটিটি দলের কর্মপন্থায় কর্ম করেছেন তিনি। বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় পূজা দুর্গাপূজা নাকি কোন উল্লাসের না দেবশ্রী রায়ের কাছে। কিন্তু কেন? জানতে হলে আজকের প্রদিবেদনটি পুরোপুরি পড়ুন।
পুজো মানে যেমন প্যান্ডেল হপিং, ঠাকুর দেখা, বন্ধু-বান্ধবীর সাথে সিনেমা দেখা আর আড্ডা মারা। প্রত্যেক বছরের মত এ বছরও পুজোতে অনেক সিনেমা বেরোতে চলেছে। আরজিকর কর্মকাণ্ডের জন্য হয়তো পুজোয় আনন্দ অনেকটাই কম তবে লোকজন ঠিকই পুজোর এই চারটি দিনে উল্লাস করবে বলেই আশা। এই পূজাতেই আসছে দেবশ্রী রায়ের সিনেমা “শাস্ত্রী” যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী শাশুড়ি ভূমিকায় থাকবেন।

সাধারণত সিনেমা আসা মানেই অভিনেতাদের ঘোষণায় ব্যস্ত হতে দেখা যায়। তবে তেমনভাবে ঘোষণা করতে দেখা যায়নি তারকাকে। হিন্দুস্থানের টাইমস বাংলার পক্ষ থেকে তারকার সাথে সংযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দুর্গোৎসব কোন বাড়ি নাকি তার ভালো কাটে না” তাই এই সময় নিজেকে তিনি কলকাতা থেকে অনেক দূরে থাকেন।

দেবশ্রী রায়ের মত অনুসারে “আমার পুজোর ঘটনার স্মরণ মোটেই ভালো নয়। কোন বছরই আমি পুজো পালন করিনা। পুজোতে শেষ কবে যে আনন্দ হয়েছিল সেটা মনে নেই আমার। দুর্গাপূজা থেকে কালীপূজা পর্যন্ত আমার আর পরিবারের একবারেই ভালো কাটে না। কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে দুর্গাপুজোর থেকে কালীপুজোর মধ্যে। আমাদের প্রত্যেকবার পুজোর খারাপ সময়ের মধ্যে যেতে হয়। এখন আর তাই পুজোতে কলকাতায় থাকি না।

তিনি কলকাতায় না থাকলে কোথায় যান? তিনি যদি বেড়াতে যান তাহলে এবছর কোথায় যাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মন খারাপ করে উত্তর দেয়, এবছর কোথাও যাওয়ার জন্য মনস্থির করা হয়নি। পারিবারিক একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। দিদি ছেড়ে চলে গেল, আগস্ট মাসে মামার ছেলে মারা গেছে। এইসব ঘটনার জন্য আর ঘুরতে যাওয়ার কোন মনস্থির করতে পারিনি।

সেদিন ছবি আসছে সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আরজিকর কর্মকাণ্ডের জন্য মুখ খুললেন তিনি। দেবশ্রী রায় বলেন, শহরের বক্ষে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে কারোরই হৃদয় ভালো নেই । এই ঘটনা সবাইকেই আক্রান্ত করেছে আমি নিজেও দুঃখিত। কিন্তু গুরুজনরা বলতেন, জীবনে যখন দুঃসময় আসে সেই সময় মনকে হালকা করার জন্য কোথাও থেকে বেরিয়ে আসা বা বন্ধু-বান্ধবীর সাথে কথা বলা বা একটা সিনেমা দেখে আসলে মনটা হালকা হয়ে যায়। তাই সকলকেই বলছি, মনকে হালকা করতে চাইলে “শাস্ত্রী” সিনেমাটি দেখে আসতে পারেন।

আরও পড়ুন,
*ট্রেনে ভ্রমণ করা হবে আরো সুখের, বন্দে ভারতের পর “এয়ার ট্রেন” নির্মাণ আরম্ভ করল ভারত

error: Content is protected !!