দীপাবলির আর কয়েক মূহুর্ত। তারপরই উৎসবে মেতে উঠবে গোটা দেশ৷ আর এই আলোর উৎসবে গোটা দেশের মানুষ আলোকিত করবে তাদের বাড়ি। আর এই আলোর উৎসবে ৪৯৬ বছর পর প্রথমবারের মতন অযোধ্যায় রামমন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হতে চলেছে দীপাবলি। এবার ২৮ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে রাম মন্দির। ১৫২৮ সালে রাম মন্দির মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়৷ এই সংগ্রামে নিজের জীবন দিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
রাম মন্দিরের পিছনে রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস এবং লক্ষাধিক মানুষের জীবন। চলতি বছরের ২২শে জানুয়ারি দিনটিতে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় রাম মন্দির। ওইদিন প্রতিষ্ঠা করা হয় শ্রী রামকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা নিজের হাতে করেন। ভগবান শ্রী রামের সিংহাসনের বসার পর প্রথমবারের মতন পালিত হতে চলেছে দীপাবলি। আর তার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে ভীড় জমিয়েছেন।
এবারের দীপাবলিতে রাম মন্দিরে তিন রকমের প্রদীপ জ্বালানো হবে। শ্রী রামের গর্ভগৃহে জ্বালানো হবে দেশী ঘি-এর প্রদীপ, দর্শন মার্গে মাটির প্রদীপ ও ভগবান রামের প্রাঙ্গনে মোম বা গোবরের প্রদীপ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি পর্ব প্রায় সারা হয়ে গিয়েছে। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে মন্দির। এই প্রথম বার রাম মন্দির হতে চলেছে ভক্তদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। গোটা শহর জুড়ে আলোয় ঝলমল করে তোলা হয়েছে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম দীপাবলি। বহু প্রজন্ম এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিল। এই দীপাবলির জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ বলিদাও নির্যাতন সহ্য করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এই প্রথম হতে চলেছে দীপাবলি। তাই ব্যবস্থা রয়েছে ঢালাও। বিজেপি নেতৃত্বাধীন উত্তর প্রদেশ সরকার শহরকে ২৮ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে আলোকিত করার পরিকল্পনা করেছেন।
জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রায় ১ হাজার ১০০ জন সর্যু নদীর তীরে বিশেষ আরতি করবেন। এর পাশাপাশি মায়ানমার, থাইল্যান্ড, নেপাল, কম্বোডিয়া, মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার শিল্পীরা অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। শহরের রাস্তাঘাট থেকে সর্যু নদী আলোয় রাঙিয়ে তোলা হবে।