বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া রমেশ বিশ্বাসকুমার দাদার শেষকৃত্যে চোখের জলে কাঁধে নিলেন কফিন

২৪১ জনের সঙ্গে তিনিও হারিয়ে যেতেন এক নিমেষে। কিন্তু তার বেঁচে যাওয়াকে অনেকেই ‘মিরাকল’ হিসেবেই দেখছেন। গত ১২ই জুন গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমানটি ভেঙে পড়ে। তাতে পাইলট, বিমানকর্মী সহ যাত্রীদের নিয়ে ২৪২ জন ছিলেন। কিন্তু বিমানটি রানওয়ে থেকে টেক অফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেটি পার্শ্ববর্তী একটি মেডিকেল হস্টেলের বিল্ডিং-এর উপর ভেঙে পড়ে।

ওই বিমানে বিশ্বাসকুমার রমেশের সঙ্গে ছিলেন তার দাদা। বিমানটি বিল্ডিং-এর উপর ভেঙে পড়ার সময় বিমানের বাকি সকলের নিমেষের মধ্যে মৃত্যু হয়। যদিও রমেশ সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। রমেশ ও তার দাদা সেদিন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই ঘটে যায় এমন বড় অঘটন। এবার দাদার শেষকৃত্যে দেখা গেলো রমেশকে। শরীর অসুস্থ হলেও কাছা গলায় দাদার কফিন কাঁধে নিলেন তিনি।

আর সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর সিভিল সার্ভিস হাসপাতাল থেকে সাময়িক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন রমেশ। সেখানে তার দাদার শেষকৃত্যের সময় তাকে দেখা যায় মুখে ব্যান্ডেজ লাগানো অবস্থায়। তাকে কান্না করতে করতে দাদার কফিন নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায়৷ কখনও তাকে দেখা যাচ্ছে আত্মীয়দের মধ্যে দাঁড়িয়ে কান্না করতে।

রমেশ দিউয়ের বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, বিমান দুর্ঘটনায় সাত জনের দেহ ফিরেছে দিউতে। ওই বিমান দুর্ঘটনায় বিমান যাত্রীর পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ হস্টেলের কয়েকজন পড়ুয়ার জীবন চলে যায়। ভয়ানক দুর্ঘটনার বলি হন ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ। কিন্তু সেই বিমান থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রমেশ৷ তার সঙ্গে কী করে এমনটা সম্ভব হল তা তিনি এখনও বুঝতে পারছেন না৷

জানা গিয়েছে, লন্ডন থেকে ছুটি কাটাতে দিউতে এসেছিলেন রমেশ ও তার দাদা অজয়৷ গত ১২ই জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করে নিজের বাড়িতে লন্ডনে ফিরে যাচ্ছিলেন তারা দু’জন। ওইদিন এয়ার ইন্ডিয়ার 11A আসনে বসেছিলেন রমেশ এবং 11J আসনে বসেছিলেন তার দাদা অজয়৷ এমারজেন্সি গেটের পাশেই ছিল রমেশের সিট। দুর্ঘটনার সময় রমেশের আসন সমেত মেডিকেল হস্টেলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে পড়ে। এভাবেই প্রাণে বেঁচে যান রমেশ৷

error: Content is protected !!