চারিদিকে ঠান্ডার আমেজ পড়তেই জল পানের বিষয়ে অনেকেরই অনীহা দেখা যায়। মূত্র বিসর্জন অর্থাৎ প্রস্রাব করতে গেলেই জ্বালা-পোড়া ভাব, ব্যথা অথবা পিন ফোটার মতো সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় প্রস্রাবের বেগ থাকা সত্ত্বেও প্রস্রাব হয় না। জল কম পান করলে প্রস্রাবের রঙেও পরিবর্তন আসে।
বার বার জল দিয়ে ধোয়ার পরেও এই সমস্যা আয়ত্তে আসের কোনো নামই নেয় না। প্রস্রাব করতে গেলে সুচ ফোটার মতো অনুভূতি, ব্যথা হওয়া মানেই তা মূত্রনালি বা গোপনাঙ্গের সমস্যার কারণে হয় না।চিকিৎসকেরা বলছেন, কিডনিতে সংক্রমণ হলেও একই রকম লক্ষণ দেখা যায়। অনেকেরই প্রস্রাবে রক্ত আসতে দেখা যায় না। চিকিৎসকদের মতে, জল কম পান করার অভ্যাসই কিডনি অথবা মূত্রসংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার মূলে।
আরও পড়ুন,
*প্রয়াত বাবা যেন পুত্র হয়ে কোলে ফেরে! প্রার্থনা করছেন সুদীপ্তা
*Tiger 3 : গোটা বিশ্বে ‘টাইগার ৩’ -এর দাপট, পাঁচ দিনেই ৩০০ কোটি! ভারতে কত টাকা কামাল সলমানের ছবি
শরীরে ঘাম কম হয় বলেই যে জল খাওয়ার প্রয়োজন কমে যায়, এমনটা কিন্তু একদমই নয়। সাধারণত মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা একটু বেশি দেখা যায়। মূত্র বিসর্জন করতে গেলে এই ধরনের সমস্যা কিন্তু শুধুমাত্র জল কম পানের কারণে হয় না। এই ধরনের সমস্যা হওয়ার পিছনে অন্য কারণ থাকার সম্ভাবনা।
১) ব্যাক্টেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস
মানব যৌনাঙ্গে ভাল ও খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেই ব্যাক্টেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস নামক রোগের প্রাদুর্ভাব হয়ে থাকে। গোপনাঙ্গে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে বেড়ে গেলে প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালা-পোড়া অনুভূতি হতে পারে।
২) মূত্রনালীর সংক্ৰমন
প্রস্রাব করতে গিয়ে জ্বালা-পোড়ার অনুভূতি হওয়ার অন্যতম কারণ ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মূত্রনালির সংক্রমণ। মানব শরীরে ই. কোলাই নামক একটি ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণে এমন ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
৩) কিডনির সংক্ৰমন
আর যদি প্রস্রাব করতে গেলে সুচ ফোটার মতো অনুভূতি হয় অথবা ব্যথা হওয়া মানেই তা মূত্রনালি অথবা গোপনাঙ্গের সমস্যা হয় না। চিকিৎসকদের মতে, মানব কিডনিতে সংক্রমণ হলেও এমন লক্ষণ দেখা যায়। এমনকি অনেকেরই প্রস্রাবে রক্ত আসতেও দেখা যায়।
আরও পড়ুন,
*হঠাৎ কোটিপতি! লটারি ভাগ্য হাতে আছে? না কি নেই
*Yoga: ৩ আসন, শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি জেল্লাদার করে তোলে ত্বক