Best Stocks To Buy: ভারতের শেয়ার বাজারে মাল্টিব্যাগার স্টকের প্রতি আগ্রহ সবসময়ই তুঙ্গে। বিনিয়োগকারীরা এমন স্টকের সন্ধানেই থাকেন, যা দীর্ঘমেয়াদে দুর্দান্ত রিটার্ন দিতে পারে। তবে সঙ্গে ঝুঁকিও থাকে বেশি। এর মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের নজর কাড়ছে একসময়ের অচেনা কিন্তু বর্তমানের আলোচিত মাল্টিব্যাগার— এলিটিকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
ডিভিডেন্ড ঘোষণা ও এক্স-ডিভিডেন্ড তারিখ
চলতি আর্থিক বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এফএমসিজি ও তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি।
১২ নভেম্বর (২০২৫) শেয়ারটি এক্স-ডিভিডেন্ডে ট্রেড করেছে।
কত ডিভিডেন্ড দিচ্ছে কোম্পানি?
এলিটিকন ইন্টারন্যাশনাল ১ টাকার ফেস ভ্যালুর প্রতি ইক্যুইটি শেয়ারে ০.০৫ টাকা ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ নভেম্বর, ২০২৫।
৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
শেয়ারের দাম ও মার্কেট ভ্যালু
ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর প্রথমেই কিছুটা মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। শেষ ট্রেড অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার মূল্য ০.৭% কমে ১৪৮ টাকা, আর মার্কেট ক্যাপ দাঁড়িয়েছে ২৩,৬৫৭ কোটি টাকা।
অবাক করা রিটার্ন— পাঁচ বছরে ১১,০০০%!
একসময় খুব কম লোকই এই কোম্পানির নাম জানতেন। কিন্তু ক্রমাগত ব্যবসা বৃদ্ধির ফলে এলিটিকন এখন মাল্টিব্যাগারের তালিকায় উজ্জ্বল।
গত পাঁচ বছরে শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে ১১,০০০%–এর বেশি রিটার্ন— যা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো।
কেমন পারফরম্যান্স করেছে এলিটিকন?
কোম্পানির ত্রৈমাসিক ফলাফলের ভিত্তিতেই এই ডিভিডেন্ড ঘোষণা।
নিট মুনাফা (YoY): ১২৮% বৃদ্ধি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষ হওয়া ত্রৈমাসিক
মুনাফা বেড়ে হয়েছে ২০.১৯ কোটি টাকা
আগের বছর ছিল ৮.৮৪ কোটি টাকা
পরিচালন আয়: পাঁচ গুণের বেশি বৃদ্ধি
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (FY 2026): ৫০৪.৮৯ কোটি টাকা
একই ত্রৈমাসিক (FY 2015): ৭৯.১৩ কোটি টাকা
বিএসই-তে দেওয়া স্পষ্টীকরণে কোম্পানি জানিয়েছে— এই ভলিউম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ বাজার-চালিত। এমন কোনো অঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা তথ্য নেই যা শেয়ারের গতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
কী কাজ করে এলিটিকন ইন্টারন্যাশনাল?
কোম্পানিটি দুটি প্রধান সেগমেন্টে ব্যবসা করে—
তামাক ও ধূমপানজাত পণ্য
এফএমসিজি পণ্য
সিগারেট, বিভিন্ন স্মোকিং প্রোডাক্টের পাশাপাশি দ্রুতগতিতে বাড়ছে এফএমসিজি সেগমেন্টে তাদের উপস্থিতি।
সতর্কতা
এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র তথ্যভিত্তিক। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের পরামর্শ নিন। এখানে কোনো রকম শেয়ার কেনাবেচার পরামর্শ দেওয়া হয় না।
