আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ছিল দ্বিতীয় দিনের শুনানি। আর এদিন আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত হল রাজ্য সরকার। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্ত কত দূর এগিয়েছে তা এদিন সিবিআই-এর তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন সিবিআই-এর আইনজীবি জানান সিবিআই-কে ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বারংবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন বলেন, “ঘটনার জায়গা আর আগের মতন নেই। তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে।” এমন কথা জানাতেই বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের আশঙ্কা এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “তথ্য প্রমান সংরক্ষণে দেরি হয়েছে। খুনের জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা।”
প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, “তদন্তে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অপরাধের জায়গা আগের মতো নেই। ধর্ষণ-খুনের ৫ দিন পর সিবিআই তদন্তে আসে। ততদিনে সব কিছু বদলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই জানতই না যে অভিযুক্তের মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে।” এরপর রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “কিছুই পরিবর্তন করা হয়নি। সবেরই ভিডিওগ্রাফি হয়েছে।”
এর পাশাপাশি এদিন প্রধান বিচারপতি টালা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ধ্যা ৬:৩০টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ময়নাতদন্তের পর রাত ১১টার সময় পুলিশ কীভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করার আগে ময়নাতদন্ত হয়ে গেলো?
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় কলকাতা পুলিশের যে অফিসার প্রথম ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রথম নথিভুক্ত করেছেন তাকে আগামী শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টে হাজির হতে হবে। তার কাছ থেকেই মামলা রুজু করার আসল সময় জানা যাবে। এর পাশাপাশি রাজ্যের আইনজীবীর দেওয়া সময়সূচি নিয়ে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কোর্টে। প্রধান বিচারপতি এদিন সাফ জানিয়ে দেন এই ঘটনায় কপিল সিব্বলের দেওয়া সময়সূচি গ্রহনযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন,
*নারীদের রাতে কম ডিউটি! গর্জে উঠলেন মীর, মহিলা রোগীরা সুস্থ থাকবেন তো?