শীতের আমেজ নামতেই অনেকের শরীরে দেখা দেয় নানা অসুবিধা—সর্দি, কাশি, কফ জমে থাকা, নাক-কান-গলা বন্ধ হয়ে যাওয়া, এমনকি মাথা ও ঘাড়ে ব্যথা। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ায় সহজেই ঠান্ডা–জনিত সমস্যা বাড়ে। তবে প্রতিদিন সকালে মাত্র কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যাগুলিকে অনেকটাই দূরে রাখা যায়।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ গরম জল খাওয়ার অভ্যাস করলে নাক-কান-গলা পরিষ্কার থাকে এবং বুকে জমে থাকা কফ বের হতে সাহায্য পায়। শীতকালে সাধারণত জল কম খাওয়া হয়, ফলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যাও বাড়ে। সকালে হালকা গরম জল খেলে এই সব সমস্যা অনেকটাই কমে যায় এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।
ঘুম থেকে উঠেই সরাসরি ঠান্ডা মেঝেতে পা দেওয়া শরীরে ঠান্ডা লাগার অন্যতম কারণ। তাই বিছানা থেকে নামার পর চটি বা পাপোশ ব্যবহার করা জরুরি। এতে শীতের ঝটকা পায়ে লাগে না এবং ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনাও কমে।
সকালে হাল্কা গরম জলে পাতিলেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য খুব উপকারী। এটি শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে, শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণ রাখে এবং রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক। নিয়মিত অল্প পরিমাণে মধু খেলে সর্দি-কাশির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় এবং কফ জমে শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তবে অতিরিক্ত মধু খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে, তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই শ্রেয়।
ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোওয়ার সময় গরম বা ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করা বিশেষ জরুরি। হঠাৎ ঠান্ডা জলে মুখ ধুলে সর্দি লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একই কারণে ঘুম থেকে উঠেই সঙ্গে সঙ্গে স্নান করাও ঠিক নয়। প্রথমে শরীরকে পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় দিন, তারপর স্নান করুন। এতে শরীর ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।
সকালের এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলি রোজ মেনে চললে শীতের সাধারণ অসুখবিসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। সুস্থ থাকতে নিয়মিত রুটিন মেনে চলা এবং শরীরকে উষ্ণ রাখা—এই দুইই শীতকালের মূল মন্ত্র।
আরও পড়ুন
ম্যানিকিওর থেকে ভয়ানক সংক্রমণ: শেষে তরুণীর আঙুলই কাটতে হল
