পশ্চিমবঙ্গে যে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে একজন মহিলা জুনিয়র ডক্টর কে আর সেই নিয়েই রাজ্যসহ গোটা দেশ এবং দেশের বাইরেও চলছে তার প্রতিবাদ। আরজি কর ঘটনা নিয়ে সবাই খুব ভয় পেয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে শোনা গেছে বলতে যে মেয়েরা রাতে কোন ডিউটি করবে না। তারা যত কাজ সব দিনে করে ফেলবে। আরে কোথা থেকে বোঝা যায় এই বিকৃত সমাজ আর ভালো হবে না নারীকে সম্মান করবে না নারীকে ভোগ্য পণ্য মনে করবে।
এই রবিবার বিদেশের মাটিতেও আমাদের পশ্চিমবঙ্গের আরজিকর মেডিকেল হসপিটালের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিল বের করেছেন। 25 টি দেশের 130 টি শহরে এই প্রতিবাদী মিছিল গর্জে উঠতে দেখা গেছে। সাথে স্পেন জাপান ও জাম্বিয়াতেও এই প্রতিবাদী মিছিল বের হয়েছিল রবিবার।আমেরিকার সাতটি শহরে এই রবিবার এই প্রতিবাদী মিছিল গর্জে উঠেছে। আরজিকরের হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে। এরমধ্যে সাউথ আফ্রিকা ,নেদারল্যান্ড ,সুইডেন, নিউজিল্যান্ডের প্রবাসীরা ও পথে নেমেছিলেন সেখান থেকে অনেকেই আমাদের ভারতবাসী তারা তাদের কর্মসূত্রে সুদূর প্রবাসীতে থাকে সেখানে বাঙালিরাও রয়েছে।
বিশ্বের অন্তত ২৫ টি দেশে গত রবিবার এই হত্যা কাণ্ডের বিচার চেয়ে কোনো না কোনো ছোট বড় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ৩০ টি শহর এই প্রতিবাদী মিছিল কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। জাপানের পাশাপাশি ইউরোপের একাধিক দেশ ও এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। আমেরিকার ৬০ টি শহরে এই প্রতিবাদী মিছিল ধ্বনিত হয়েছে। এছাড়াও জাপান অস্ট্রেলিয়া তাই ওয়ান প্রভৃতি দেশগুলিতেও এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। ম্যানচেস্টার, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি জায়গা থেকেও রবিবার এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল ভারতীয় প্রবাসীরা ও পথে নেমে ছিলেন এই রবিবারে।
সুইডেনে প্রধানত মহিলাদেরকে নিয়ে এই প্রতিবাদ মিছিল বের হয়েছিল যেখানে সমস্ত মহিলারা কালো পোশাক পড়ে হাতে প্ল্যাকার্ড তারা বাংলা গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ধ্বনিত হয়েছিল প্রতিবাদের স্লোগান। এই কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন দীপ্তি জৈন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রাক্তনী। বর্তমানে এখন ব্রিটিশ নাগরিক দীপ্তি জৈন। এই ঘটনা সে সম্পর্কে বলেছেন কলকাতা কর্তব্যরত মহিলা কে এমন ভাবে মারা একটি সত্যি সমাজের কাছে লজ্জা জনক তারা শিহরিত।
৯ ই আগস্ট ঘটে যাওয়া এই ঘটনার বিচার চেয়ে রবিবার সারা কলকাতা জুড়ে সব থেকে বৃহত্তর প্রতিবাদী আন্দোলন হয়েছিল। সোমবার সুপ্রিমকোর্ট এই নিয়ে রায় দেবেন সিবিআইরা তাদের প্রমাণ সহ রিপোর্ট জমা দেবেন সুপ্রিম কোর্টে। রাতভর রাস্তায় নেমেছিল হাজার হাজার মানুষ কলকাতায় সর্বাত্মক প্রতিবাদী মিছিল হয়েছিল রবিবার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা ও তাই বেছে নিয়েছিল এই রবিবারকেই।
আরও পড়ুন,
*সোনাক্ষীর বিয়ের পর প্রথম গণপতি পুজো, কি বার্তা দিলেন অভিনেত্রী