তার কাছে শাড়ি পরেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে শুরু করে বিদেশী তারকারাও। বর্তমানে শুধু শাড়ি পরিয়ে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছেন তিনি। তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে চমকে যাবেন আপনি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন।
আজ আমরা কথা বলছি ডলি জৈনের সম্পর্কে। কলকাতার বাসিন্দা ডলির শাড়ি পরানোর দক্ষতা কারোরই অজানা নয়। তিনি প্রচুর রকমভাবে শাড়ি পরাতে পারেন এবং সেই শাড়ি পরাতে সময় নেন মাত্র কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট। গৃহবধূ থেকে আজ তিনি নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।
একটি সাক্ষাৎকারে যখন তাকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জানানো হয় তখন তিনি বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়ে যায় ২১ বছর বয়সে। এই বয়সে গ্রাজুয়েশন সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তবে আমি মাত্র সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। তবে আমার এই পড়াশোনা না করার পেছনে পারিবারিক কারণ ছিল। ‘
সে বিষয়ে আর খোলসা করে বলেননি তিনি। তবে তার দুর্দান্ত ইংরেজি বলার পেছনের রহস্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন তার মেয়েরাই তাকে ইংরেজি শিখিয়েছেন। তিনি তাদের বলতেন তার সাথে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য। এভাবে তিনি আজ অনর্গল ইংরেজিতে বলতে পারেন।
অন্যদিকে শাড়ি পরানোর বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন তার শ্বশুরবাড়িতে শাড়ি পরার প্রচলন ছিল। সেখান থেকে শাড়ির প্রতি ভালোবাসা। ধীরে ধীরে তিনি অনেক রকমভাবে শাড়ি পরার চেষ্টা করতেন। এভাবে ২০১১ সালে দ্রুত শাড়ি পরে ‘গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’এ নাম লেখান।