তিন ‘বন্ধু’র আপ্রাণ প্রচেষ্টাতেই দ্বিতীয় নির্বাসন শেষ হতে চলেছে রামলালার। কী অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন রামলালার কোন তিন ‘বন্ধু’র কথা বলা হচ্ছে? ২২শে জানুয়ারী সোমবার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দিরে। তবে এই ঐতিহাসিক দিনের নেপথ্যে কোন ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে তা অনেকেই জানেন না। যাদের কঠোর লড়াইয়ে এই ‘শুভদিন’ দেখতে চলেছে দেশবাসী তারা হলেন দেওকী নন্দন আগরওয়াল, ঠাকুর প্রসাদ ভার্মা এবং ত্রিলোকী নাথ পাণ্ডে।
হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেওকী নন্দন ১৯৮৯ সালে রামলালার তরফে মামলা দায়ের করেছিলেন। রামলালার বন্ধু হিসেবে মামলা লড়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ‘ভিএইচপি’র ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর এই দায়িত্ব এসে পড়ে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঠাকুর প্রসাদ ভার্মার ওপর। ২০১০ সালে আবার সেই দায়িত্ব পান ত্রিলোকী নাথ পাণ্ডে।
আরও পড়ুন,
*রামের প্রেমিকা! মাথায় ঘোমটা দিয়ে নারী’র ভঙ্গিমায় প্রভুর পুজো করেন ‘রাম রসিক’ সম্প্রদায়ের পুরুষেরা
অবশেষে আসে সেই ঐতিহাসিক দিন। ২০১৯ সালে সুপ্রিমকোর্টের তরফ থেকে রায় দেওয়া হয় অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জমির মালিক আসলে রামলালা। রায় ঘোষণার দিন নির্জলা উপোস করেছিলেন ত্রিলোকী নাথ। অবশেষে রায় শোনার পর উপোস ভাঙেন তিনি।
পাশাপাশি এও বলেন ‘রামলালার দ্বিতীয় নির্বাসন সম্পূর্ণ। এবার মন্দিরে প্রবেশ করবেন তিনি। তবে এই লড়াইয়ে কেউ হারেনি।’ এরপর কয়েক বছরের অপেক্ষা, অবশেষে ২০২৪ সালের ২২শে জানুয়ারী প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দিরে।
তবে এই ঐতিহাসিক জয় নিজের চোখে দেখতে পারবেন না তারা কেউই। ২০২১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন ত্রিলোকী নাথও। তবে আজীবন এই মন্দিরে রামলালার ‘বন্ধু’ হিসেবেই উপস্থিত থাকবেন দেওকী নন্দন আগরওয়াল, ঠাকুর প্রসাদ ভার্মা এবং ত্রিলোকী নাথ পাণ্ডে।
আরও পড়ুন,
*রামরামপাড়ার সব পুরুষের নামেই ‘রাম’-এর ছোঁয়া, বাঁকুড়ার ‘রামময়’ গ্রাম সাজছে অযোধ্যা ধামের জন্য রাম
*Ram Mondir Ajodha: সেজে উঠেছে অযোধ্যা ধাম, উচ্ছেদের ধার না ধারলেও রাম-আলোর আড়ালে ‘মা’ কৌশল্যাদের চোখের জলও